জীবন ও জীবিকা দৃশ্যপট বিহীন কিছু প্রশ্নের উত্তর

১. ব্যাংক ডিপোজিট বা আমানত সেবার উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
১ নং প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
ব্যাংক ডিপোজিট বা আমানত সেবার উপর প্রতিবেদন
২. সাধারণ দেশের একটি পর্যটন স্পট ও পর্যটন গাইড একই সূত্রে গাথী। পর্যটন স্পট গুলো নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরার জন্য গাইডের গুরুত্ব অনেক।
ক. ইকো ট্যুর এর সুবিধা গুলো কি কি?
খ. বাংলাদেশের কয়েকটি ইকো ট্যুর স্পটের উল্লেখ করে যেকোনো একটির বর্ণনা দাও।
ইকো ট্যুরিজম ও পর্যটন গাইড
ক. ইকো ট্যুর এর সুবিধা
ইকো ট্যুরিজম পরিবেশগত সংরক্ষণ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর কিছু সুবিধা হলো:
১. পরিবেশ সংরক্ষণ: ইকো ট্যুরিস্টরা প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি না করে তা উপভোগ করে। এটি পরিবেশের টেকসই ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে।
২. স্থানীয় অর্থনীতি উন্নয়ন: ইকো ট্যুরিজমের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারে, যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করে।
৩. শিক্ষা: ইকো ট্যুর শিক্ষামূলক, কারণ এটি পর্যটকদের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।
৪. মানসিক প্রশান্তি: ইকো ট্যুর প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি প্রদান করে এবং জীবনধারায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
খ. বাংলাদেশের ইকো ট্যুর স্পট
বাংলাদেশে বেশ কিছু বিখ্যাত ইকো ট্যুরিজম স্থান রয়েছে, যেমন:
- সুন্দরবন
- কুয়াকাটা
- রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
- মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
- লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
সুন্দরবনের বর্ণনা
সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত। সুন্দরবন ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান। এখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, হরিণ, নানা প্রজাতির পাখি ও উদ্ভিদ পাওয়া যায়। এটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইকো ট্যুরিজমের একটি আদর্শ গন্তব্য। এখানে পর্যটকদের নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
৩. তোমার বাড়িতে মেহমান আসলে তোমার ভাইটি তার নিজের কক্ষে মোবাইল নিয়ে বসে থাকে। মেহেমানদের সাথে কোনো ধরণের শুভেচ্ছা বিনিময় করে না। ওসব কারণে তোমার মা প্রায়ই প্রেশার বেড়ে অসুস্থ থাকেন।
ক. ওরূপ অবস্থায় মায়ের হঠাৎ প্রেশার বেড়ে গেলে একজন কেয়ার গিভার হিসেবে তুমি কিভাবে সেবা প্রদান করবে?
খ. তোমার ভাইকে কাঙ্ক্ষিত সামাজিক আচরণে অভ্যস্ত করে তোলার ক্ষেত্রে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে।
পরিবারের সমস্যা ও সমাধান
ক. মায়ের হঠাৎ প্রেশার বেড়ে গেলে করণীয়:
যদি মায়ের প্রেশার হঠাৎ বেড়ে যায়, তবে কেয়ারগিভার হিসেবে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে হবে:
১. শান্ত রাখা: মাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে, কারণ মানসিক চাপ প্রেশারকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. ওষুধ প্রয়োগ: মায়ের যদি পূর্বনির্ধারিত কোনো প্রেশারের ওষুধ থাকে, তবে তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
৩. রক্তচাপ মাপা: ঘরে যদি রক্তচাপ মাপার যন্ত্র থাকে, তবে তা দিয়ে রক্তচাপ মেপে দেখতে হবে।
৪. ডাক্তারের পরামর্শ: প্রেশার খুব বেশি হলে নিকটস্থ চিকিৎসক বা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
খ. ভাইয়ের কাঙ্ক্ষিত সামাজিক আচরণে অভ্যস্ত করার উপায়
ভাইকে সামাজিক আচরণে অভ্যস্ত করার জন্য নিচের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
১. আলোচনা করা: ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে তাকে সামাজিক আচরণের গুরুত্ব বোঝাতে হবে।
২. পজিটিভ রিওয়ার্ড: যদি সে মেহমানদের সাথে মেলামেশা করে, তবে তাকে উৎসাহিত করার জন্য কিছু পুরস্কারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৩. পারিবারিক মূল্যবোধ শিখানো: পরিবারের মূল্যবোধ এবং সামাজিকতা সম্পর্কে তাকে শিক্ষা দিতে হবে, যা তাকে দায়িত্ববান করে তুলবে।
৪. রোল মডেল তৈরি করা: তাকে বড় ভাই বা অন্যদের থেকে শিখতে সাহায্য করা যেতে পারে, যারা সামাজিকভাবে সক্রিয়।
৪. গেঞ্জির মাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে s, m, x, xl কিভাবে পরিমাপ করা হয়, তার একটি তালিকা তৈরি কর। নিজের প্রতিভা ব্যবহার করে একটি গেঞ্জির ডিজাইনের খসড়া তৈরি কর।
গেঞ্জির মাপের তালিকা এবং ডিজাইন
গেঞ্জির মাপ নেওয়ার তালিকা (S, M, L, XL)
গেঞ্জির মাপ সাধারণত বিভিন্ন মাপের হিসেবে (বুকের মাপ, কোমরের মাপ, দৈর্ঘ্য ইত্যাদি) নির্ধারিত হয়। নিচে মাপের তালিকা দেয়া হলো:
১. Small (S)
- বুকের মাপ: ৩৪-৩৬ ইঞ্চি (৮৬-৯১ সেমি)
- কোমরের মাপ: ২৮-৩০ ইঞ্চি (৭১-৭৬ সেমি)
- গেঞ্জির দৈর্ঘ্য: প্রায় ২৬-২৭ ইঞ্চি (৬৬-৬৮ সেমি)
২. Medium (M)
- বুকের মাপ: ৩৮-৪০ ইঞ্চি (৯৬-১০১ সেমি)
- কোমরের মাপ: ৩২-৩৪ ইঞ্চি (৮১-৮৬ সেমি)
- গেঞ্জির দৈর্ঘ্য: প্রায় ২৮-২৯ ইঞ্চি (৭১-৭৪ সেমি)
৩. Large (L)
- বুকের মাপ: ৪২-৪৪ ইঞ্চি (১০৬-১১১ সেমি)
- কোমরের মাপ: ৩৬-৩৮ ইঞ্চি (৯১-৯৬ সেমি)
- গেঞ্জির দৈর্ঘ্য: প্রায় ২৯-৩০ ইঞ্চি (৭৪-৭৬ সেমি)
৪. Extra Large (XL)
- বুকের মাপ: ৪৬-৪৮ ইঞ্চি (১১৬-১২১ সেমি)
- কোমরের মাপ: ৪০-৪২ ইঞ্চি (১০১-১০৬ সেমি)
- গেঞ্জির দৈর্ঘ্য: প্রায় ৩১-৩২ ইঞ্চি (৭৯-৮১ সেমি)
গেঞ্জির ডিজাইনের খসড়া
ডিজাইন ভাবনা
আমি একটি নতুন গেঞ্জির ডিজাইন প্রস্তাব করছি, যা আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল উভয় হবে। এটি একটি সহজ এবং কার্যকর ডিজাইন হবে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য আদর্শ।
ডিজাইন বিবরণ:
1. গেঞ্জির ধরন:
- গোল গলা (Round Neck) বা ভি-নেক (V-Neck)
- হাতা ছোট (Short Sleeve)
2. রঙের ধারণা:
- প্রধান রঙ হতে পারে মৃদু সবুজ (প্যাস্টেল গ্রীন) বা সাদা, যা সার্বজনীন এবং সবসময় ফ্যাশনেবল থাকে।
- গেঞ্জির মাঝখানে একটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের বা পাহাড়ের ছবি থাকবে, যা "ইকো-ফ্রেন্ডলি" বা পরিবেশ সচেতনতার বার্তা বহন করবে।
3. ডিজাইনের উপকরণ:
- টেক্সট: সামনে একটি স্লোগান থাকবে, যেমন: “Nature is Life” অথবা “Stay Green, Stay Clean”, যা পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
- গ্রাফিক্স: একটি বড় সূর্যোদয়ের দৃশ্য বা পাহাড়ের নিচে নদীর চলমান ছবি, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রশান্তির প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।
4. স্টাইল ও ফিট:
- এটি একটি Slim Fit গেঞ্জি হবে, যা শরীরের সাথে আরামদায়কভাবে মানিয়ে যাবে।
- বডির পাশে হালকা ছায়ার শেড ব্যবহার করে নকশা দেওয়া হবে, যা গেঞ্জিটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
5. উপাদান:
- কটন (Cotton): কারণ কটন খুবই আরামদায়ক এবং নিঃশ্বাস-যোগ্য, যা গরম আবহাওয়ায়ও পরতে সুবিধাজনক।
- ইকো-ফ্রেন্ডলি ফ্যাব্রিক: পরিবেশ-বান্ধব এবং টেকসই উপাদানের ব্যবহারকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এই গেঞ্জির ডিজাইন পরিবেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও সচেতনতা প্রকাশ করবে, পাশাপাশি এটি দৈনন্দিন জীবনেও ব্যবহারযোগ্য হবে।
